ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

প্রাণ-এসিআইসহ সেই নিষিদ্ধ ৫২টি পণ্য এখনো পাওয়া যাচ্ছে বাজারে

নিউজ ডেস্ক ::

বাজার থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য আদালত নির্দেশনা দিলেও বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া ৫২টি পণ্য এখনো পাওয়া যাচ্ছে বাজারে।

রবিবার এক রিট শুনানির আদেশে উচ্চ আদালত বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল, খাবারের মসলা, পানি, সেমাই, ঘি, ময়দা, দই, চানাচুর, মধু, লবণসহ বিভিন্ন ধরনের ৫২টি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি বন্ধ এবং সেগুলো বাজার থেকে সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেয়। বিএসটিআইয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে পুনরায় উত্তীর্ণ না হওয়া পর্যন্ত এসব পণ্য উৎপাদন, সরবরাহ এবং  বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় ওই রায়ে। আর এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আদেশ দেন আদালত।

তবে আজ সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর, উত্তরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকার দোকানপাট ও বাজারে এখনো সেসব পণ্যের মজুদ দেখা যায়। থেমেও নেই এসব পণ্যের বিক্রি।

আদালতের রায়ের অনুলিপি হাতে পেলে সেখানে থাকা নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য এবং অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন বলেন, আদালতের আদেশের কপি না পাওয়া পর্যন্ত আসলে আমাদের কিছুই করার নেই। কারণ আদেশে উল্লেখিত বিভিন্ন শব্দগত ব্যাখ্যার ওপর নির্ভর করবে যে আমাদের কী পদক্ষেপ নিতে হবে? পণ্যগুলো সরিয়ে ফেলা বলতে ঠিক কোনগুলো বা কী পরিমাণ সরিয়ে ফেলতে হবে সেটা দেখতে হবে। কোনো একটি ব্যাচ নাকি পুরো লট সরিয়ে ফেলতে হবে? এসব বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে রায় বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেবো।

ভেজাল ৫২ পণ্য ও প্রতিষ্ঠানের নাম
বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরীক্ষায় প্রমাণিত কম্পানি এবং ভেজাল ও নিম্নমাণের পণ্যগুলো হলো—সিটি অয়েলের তীর সরিষার তেল, গ্রিন ব্লিচিং ভেজিটেবল অয়েলের জিবি সরিষার তেল, শবনম ভেজিটেবল অয়েলের পুষ্টি সরিষার তেল, বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের রূপচাঁদা সরিষার তেল, আরা ফুড অ্যান্ড বেভারেজের আরা ড্রিংকিং ওয়াটার, আলসাফি ড্রিংকিং ওয়াটার, শাহারী অ্যান্ড ব্রাদার্সের মিজান ড্রিংকিং ওয়াটার, মর্ন ডিউ  ড্রিংকিং ওয়াটার, ডানকানের ন্যাচারাল মিনারেল ওয়াটার, আরআর ডিউ ড্রিংকিং ওয়াটার, দিঘি ড্রিংকিং ওয়াটার, নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রডাক্টের ডুডলি নুডলস, শান্ত ফুডের (টেস্টি, তানি, তাসকিয়া) সফট ড্রিংক পাউডার, জাহাঙ্গীর ফুডের প্রিয়া সফট ড্রিংক পাউডার, প্রাণের কারি পাউডার, ড্যানিশের কারি পাউডার, ড্যানিশের হলুদের গুঁড়া, প্রাণের হলুদের গুঁড়া, সূর্যের মরিচের গুঁড়া, মঞ্জিলের হলুদের গুঁড়া, ফ্রেশের হলুদের গুঁড়া, এসিআইয়ের ধনিয়ার গুঁড়া, পিওর হাটহাজারী মরিচ গুঁড়া, সান ফুডের হলুদের গুঁড়া, ডলফিনের হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, মিষ্টিমেলা লাচ্ছা সেমাই, জেদ্দার লাচ্ছা সেমাই, অমৃতের লাচ্ছা সেমাই, মধুবনের লাচ্ছা সেমাই, মিঠাইয়ের লাচ্ছা সেমাই, অয়েল ফুডের লাচ্ছা সেমাই, প্রাণের লাচ্ছা সেমাই, কিরণের লাচ্ছা সেমাই, এসিআইয়ের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মধুমতির আয়োডিনযুক্ত লবণ, দাদা সুপারের আয়োডিনযুক্ত লবণ, মদিনার আয়োডিনযুক্ত লবণ, নুরের আয়োডিনযুক্ত লবন, মোল্লা সল্টের আয়োডিনযুক্ত লবণ, কিংয়ের ময়দা, রূপসার দই, মক্কার চানাচুর, কাশেম ফুডের সান চিপস, মেহেদীর বিস্কুট, বাঘাবাড়ীর স্পেশাল ঘি, বনলতার ঘি, নিশিতা ফুডসের সুজি ও গ্রিন লেনের মধু।

পাঠকের মতামত: